Tuesday, April 28, 2015

পাগলী গো - ১

পাগলী গো - ১
---------------------------
(
... কোন এক পাগলী স্মরণে ...
মূল রচনা: জানুয়ারীর শেষভাগ, ২০১৫
বেশ কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে দৃক-গ্যালারিতে একটা ন্যূড-ফটোগ্রাফি-এক্সজিভিশন নিয়ে আলোচনার সময় এই রকম একটা পুরো কল্পনা-নির্ভর নিরীক্ষামূলক কবিতা লেখার ইচ্ছা হয়েছিল!
)

পাগলী গো, তোমার নেশাভরা হাসিতে
তোমার গালের টোল যে ভোরটেক্স ভিসুভিয়াস তোলে -
তার দাহ তীব্রতায় -
আমার অস্থিমজ্জায়
আমার শত কশেরুকায় -
তরল লাভার স্রোত নাভিমূল থেকে নিম্নগামী হয়!

প্রথম দেখাতেই যেন লাফ্স(LAFS) হয়ে গেল
আমার। LAFS-কে লম্বা করে দাঁড়ায় - লাভ
এ্যাট ফার্স্ট সাইট! মানে - প্রথম দেখাতেই প্রেম!
নাকি শরীর থেকে জেগে ওঠা কাম? তোমার
সেই সম্মোহনী হাসি! পরনের সেই আঁটোসাটো
জিন্স আর তার সেই অদ্ভূত সুন্দর সবুজ রঙ!
গোলাপী লিপস্টিক ঠোঁটে তোমার রহস্যময়
সেই হাসি! ফেসবুকের তোমার ছবিগুলো নামিয়ে
সে কী কিশোর দিনের ছেলেপনা! তোমার ছবির
স্লাইড শো দেখে আমি যেন আমার সঙ্গীহীনতা
কাটাই! তোমার সব প্রাণবন্ত উচ্ছলতায়
আমার বিষন্নতারা যেন দূরে চলে যায়!
পাগলী গো, তোমার পাগলামীতে আমি যেন
আবার দূরন্ত কিশোর হয়ে যাই! যেন বুঝে যাই -
কেন শুদ্ধতম কবি জীবনানন্দ পরজন্মে হতে
চেয়েছিলেন কিশোরীর পায়ের ঘুঙুর!
তোমার কিশোরী চপলতায় তৈরী হোক জীবনের
আনন্দে আরেক জীবনানন্দ কবি!

তোমার সুন্দর ভরা ভরা
শত শত ভীষন বঙ্কিম রেখায়
যে গ্যালন গ্যালন ওয়াইনের
মদিরতা ঢেলে রেখেছো - মাধুরী;
তার তীব্র আবাহনে এই শহরের
রাতের নির্জনতায় বার থেকে ক্যাফে,
ক্যাফে থেকে বার - বার বার ছুটে
গেছি আমি।

তোমার চোখ, মুখ, ঠোঁট, বুক
তাদের নানা রহস্যময় বাঁকা রেখায়
এসে হাজির হয় -
আমার চোখের কিনারায়।
লিপস্টিকে রাঙানো তোমার
দুই ঠোঁটে আমি শুধু সুন্দরের
নির্যাস দেখে যাই।
তোমার অপূর্ব সুগোল দুই
স্তনে - মনে মনে আমি -
কত শত বার মুখ লুকাতে চাই।
বেহেশতী বাইশলক্ষ হুরীর সমস্ত
দেহের চেয়েও আরাধ্য আমার
নিটোল সুগোল ওই দুই বুকের মাণিক!
জ্যামিতি ও স্থাপত্য নকশার -
কী দারুন সমাবেশে -
বক্রতায় ভরা তোমার সুষম শরীর!
বড়ো বৃত্ত বর্তুলাকার মাঝে কিছুটা
ইলিপ্টিক স্তনের সীমানায় - আরো ছোট
বৃত্তাকার - চুমুর কামনায় যেন
ঘন-গাঢ়-কৃষ্ণ-বৃন্ত-ফোঁটা!

তোমার কোমরের দুই মসৃণ বাঁকে
আমি গড়াতে গড়াতে যেতে চাই -
অন্তিম নিদ্রায়!
উরু ও নিতম্বের যে অসীম মসৃণতা
তোমাকে ক্লিওপেট্রার চেয়েও কমনীয়
করে তোলে -
সেই অপূর্ব পেলব জমিতে আমি
স্থাণুর মত থিতু হতে চাই!
তলপেটের উর্বর উপত্যকায় তোমার
আদিম কৃষক আমি লাঙ্গলের
ফলায় ফলাতে চাই -
সভ্যতার চিরন্তন চিত্র-কবিতা-গানের ফসল।
আমার আদিম আদিম পুরুষের ফসিল থেকে
যে শতকোটি বছরের গুহা-চিত্র-নাট্য
উদ্ঘাটিত হয় - তাতে যেন সুস্পষ্ট
দেখতে পাই - তোমার মসৃণতম অংশগুলো
আমার অপরূপ ক্যানভাসে বিবর্তিত হয়ে যায়!
আর আমি আদিম চিত্রকর আমার মোটা
দেহের ব্রাশে বাইসন থেকে হরিণ, সাভানা
থেকে আমাজন এবং গঙগা থেকে
ভল্গা এঁকে যাই - অবিরাম!!

নাভিমূল পেরিয়ে তোমার যে
দূর্গম উরু-জঙ্ঘার সীমানা -
তাতে যে প্রবল মানা, তুমি দিয়ে রেখেছো -
তা দূরের তীব্র ভয়াল কাঞ্চনজঞ্ঘার
চেয়েও দূরতর মনে হয়!
কাঞ্চনজঞ্ঘার অভিযানও যেন
হার মেনে যায় তোমার জঙ্ঘায়
পৌঁছাবার অভিলাষ থেকে!
অথচ আমি মুগ্ধ কবি এক --
হিয়েরোস-গ্যামোসের প্রার্থনায়
নতজানু নূড নুয়ে হয়ে বসি
তোমার নিসর্গনূডের আদি সৃষ্টি শক্তির
সম্মোহনী আভায়!

তুমি শুধু নিশ্চুপ থাকো!
আমি নিরন্তর বসে থাকি প্রার্থনায়!
অপেক্ষায় - অপেক্ষায় - চির অপেক্ষায়।।