Friday, October 18, 2013

ফুলমুন, ফুলমুন - ১

ফুলমুন, ফুলমুন - ১

ফুলমুন, ফুলমুন - তুমি
করো কেনো ধুনফুন ?
এতো রাত তক জাগিয়ে
রাখো - তাড়াও চোখের ঘুম!
ফুলমুন, ফুলমুন!

জোয়ার জাগাও সাগরেতে
বাঞ্ছা করি তোমায় পেতে!
তোমার আলোর মায়াবীতে
যাদুর শহর পাড়ি দিতে
ঘর ছেড়ে হই - লুন!
ফুলমুন, ফুলমুন!

গৌতম দাদু বুদ্ধ হলো
রাহুল ছেড়ে পালিয়ে গেলো!
তোমার নেশায় মহুয়া পেলো
জীবন জগত শুদ্ধ হলো - শুন!
ফুলমুন, ফুলমুন!

ফুলমুন, ফুলমুন - তোমার
এত্তো গুলা গুণ?
সবাই ছুটে তোমার টানে
পান করে চায় তোমার পানে
তাদের মাথায় চাপাও খুন!
ফুলমুন, ফুলমুন!

ফুলমুন, ফুলমুন - তুমি
কবির মুখ করো যে চুন!
শব্দেরা সব পালিয়ে গেলো
ছন্দ এলো ছন্দ গেলো
কবির নেইতো কোনো গুন!
ফুলমুন, ফুলমুন!


Thursday, October 3, 2013

আগারগাঁও গোরস্থান - ১

আগারগাঁও গোরস্থান - ১

বেশ প্রশস্ত রাস্তার ধারে প্রবীন নিবাসের ওপারে
খুব ছায়াময় গাছ-গাছালির নিচে যেন চুপটি করে
লুকিয়ে ছিল এতগুলো বছর! আমি দেখতে পাইনি
মোটেও - এত এতদিন! অথচ কত কত চাঁদের রাতের
মায়ায় এই পথে আমি হেঁটে গেছি একা ও অন্য কারো
সাথে!
সেদিন যেন হঠাত ঘুম ভাঙ্গলো মসজিদটির
পাশেই -- গোরস্থানে কারা যেন নিয়ে এলো লাশ!

ফরজে কিফায়া পালনে আত্মীয় অনাত্মীয় আরো আরো অনেকে
এসেছে ছোট খোলা ট্রাকে দাঁড়িয়ে! শুধু মসজিদ নিরুত্তর -
আর শুন শান শুয়ে আছে এই একা গোরস্থান! ওপারে প্রবীণেরা
দিন গুনে চলে কবে হবে এই তরু ছায়া তলে অন্তিম চির শয়ান!

গোরস্থান যেন তার-ই অপেক্ষায় থাকে; আর যেন আমাকেও
হঠাত দেখে কিছুটা কাছে ডাকে! আমি যদিও মোটেও প্রস্তুত নই
এখনই কোনো প্রস্থানে! ...

Thursday, September 26, 2013

নশ্বরতার যাদু - অবিনশ্বর ...? - ১

নশ্বরতার যাদু - অবিনশ্বর ...? - ১

অবিনশ্বরে আস্থা হত হতে হতে -
নশ্বর প্রতিটি মুহূর্তের মায়ায় ডুবে যেতে চাই!
ছন্দ-সুর-সুধা-সঙ্গীতের যাদু নিয়ে বসে আছো-
তুমি অতি নশ্বর কিছু মুহূর্তের জন্য যে ছন্দ-সুন্দরী-
তোমাতে শুধু আকন্ঠ নয়, ওষ্ঠ সহ ডুবে যেতে চাই!

অতি নশ্বর কিছু প্রশ্বাসের উত্থানে ও পতনে -
তোমার উপত্যকায় যে ঢেউ খেলে যায় -
তাকে কি ছোঁয়া যায় এই নশ্বর দেহ মন নিয়ে?
বুকের গনগনে আগুনকে উস্কে দেয়া তোমার হাপর-হাওয়া-
আটকাবো কিভাবে বলো এই নশ্বর দেহ মন নিয়ে?

কামারের নেহাই নিয়েও হোক - তোমার দোহাই!
গড়ে-পিটে নাও এই দেহ-মন - শুধু এই দু-দন্ড প্রয়োজনে!
অবিনশ্বরে কোনদিন হবে কি হবে না আমার ঠাঁই-
শুধু কি এই চিন্তায় ঘুমে-জাগরনে স্মরণে-বিস্মরণে কেটে গেল কাল?
আজ এই সকালে - তুমি এসে, নশ্বর মুহূর্তে মিশে - আমাকে দাও রেহাই!




রচনা: ঢাকা, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সকাল ১১টা

Friday, July 26, 2013

কালাহারি - হিয়েরোস-গ্যামোস - ১

কালাহারি - হিয়েরোস-গ্যামোস - ১
(৩রা মার্চ, ২০১০)

মরুতাপে নেতানো শুকানো আর বড় পিপাসার্ত এই কবি কালাহারি,
বাস্তবিক জটিল কুটিল কত হিসেবের খেলা:
কে কাকে দেয়, চুপিসারে কে-ই বা কত নিয়ে নেয়,
কোথায় কত ব্যবসার মার-প্যাঁচ, কত সামাজিকতার মেকীপনা ----
বোঝে না, বোঝে না, বোঝে না -- কিছুতেই বোঝে না, এই আধা-গাধা কবি কালাহারি।

অথবা কি এমন - বুঝেও না বোঝার ভান করে এই জন ?
বলেও না বলার ভান?
চেয়েও না চাওয়ার ভান?
ছুঁয়েও না ছোঁয়ার ভান?
অভিমান, অভিমান, অভিমান?
কার পরে? কার তরে? কোন অধিকারে?
অধিকার, অধিকার, অধিকার।
বড় তীব্র, বড় বেশী সুতীব্র এই চিৎকার।
কি আমার অধিকার তোমার ওপর? অথবা বিপ্রতীপে?

কোন অধিকারহীন গান্ধর্বমিলনে, রাজী কি তুমি সুলোচনা মেয়ে?
রাজী কি, নিখাদ শব্দেরও অধিক শরীরের খাদে খাদে, মিশে যেতে?
যামিনীতে? যমুনায়? জঙ্গমে? সঙ্গমে?

কি হবে এই সব বলে ক'য়ে?
কি হবে কেনগুলির উত্তর দিয়ে?
কি হবে অর্গল খুলে, কথার সব জল, কলকল করে ঢেলে দিয়ে, তোমার উপর?
প্লাবিত হবে তুমি? ভাবিত হবে তুমি? নমিত হবো আমি শুদ্ধ প্রার্থনায়?

আত্মজা ছায়া - ১

আত্মজা ছায়া - ১

তোরে কেন এতো ভাবি?
এতো কেন গাই তোর একপেশে গীত?
তুই কষ্মিনকালেও খবর না নিলেও ...
আমি কেন হই উন্মন উচাটন ...
তোর কথা ভেবে ভেবে সারাদিন সারাক্ষণ ...??
কত ঋতু আসে যায় ...
কত রঙ রূপ বদলায় ...!
তবু কেন মনে পড়ে তোরে ...
কিবা গ্রীষ্ম, কিবা বর্ষা, কিবা শীত ...??
তুই কি জানিস মনে ...
তোরই বিন্দু আবাহনে ...
তোরই দূরন্ত চোখে মুখে ...
আমি দেখি আমার কালান্ত অতীত...???

সোজাসুজি রবীন্দ্র-প্রণয়ের পরে - ১

সোজাসুজি রবীন্দ্র-প্রণয়ের পরে - ১

(বিশ্বকবি র.ঠা.)
"বাসন্তী রঙ বসনখানি নেশার মত চক্ষে ধরে,
তোমার গাঁথা যূঁথীর মালা স্তুতির মত বক্ষে পড়ে!
একটু দেয়া একটু রাখা, একটু প্রকাশ একটু ঢাকা,
একটু হাসি একটু স্মরণ, দুজনের এই বোঝাবুঝি,
তোমার আমার এই যে প্রণয় নিতান্তই সোজাসুজি!"

(কবি (?) কা.)
সোজাসুজি নিত্য প্রণয় - বাঁধন-হারা মুক্ত স্বাধীন
যেন হয, যেন খুব হয় -
অন্তরের আকাঙ্খিত চির-যমুনায়!
কবে পাবো সেই রাধিকারে ---?
কিংবা আকারে প্রকারে নানা গোপিনীরে...??

(কবি অ.ই.)
"বুঝি না কোন আকার প্রকার
রাধিকার বিরহভার
গোপিনী হতেও রাজী আছি
কৃষ্ণ যদি বাজায় বাঁশি
অসীম কোন অবোধ কথা
স্বাধীন হয়ে যায় কি বোঝা?
দুটি প্রাণের কাহিনী টা, বন্ধন ছাড়া হয় না মোটেই
তোমার আমার এই যে প্রণয় কি করে তবে সোজাসুজি...???"

(কবি (?) কা.)
যুক্ত প্রাণের মুক্ত উৎসারে ...
বন্ধনহীন গুপ্ত অভিসারে ...
চিরায়ত রাধা চলে চিরদিন ...!
কালের কৃষ্ণ এসে সতৃষ্ণ ...
বাজায়ে বাঁশি হয় বিলীন...!!!
রাধা খুঁজে মরে...শত গোপিনীরে লয়ে...
হায় রে মরণ! রাধিকারমণ কোথায় থাকে চুরি ক'রে...!!!
 
... (চলবে...???)


Thursday, July 25, 2013

নি:সঙ্গ দ্রোহী - ১

নি:সঙ্গ দ্রোহী - ১

ধিকি ধিকি দ্রোহের ধূপে কখন -
জ্বলে যে আগুন!
বিনা বারিষে শাওনও যে -
দহনে দহনে হয় রিক্ত ফাগুন!
কে পারে রাখতে শেষে -
ভালোবেসে আশাহীন -
যুগল যাপনের যৌথ অভিলাষ?
নিষ্কাম নিষ্কাম মনে,
কামহীন পূত-পবিত্র জীবনে -
সরস সরোবরে কেলি করে কি -
অমৃতের অধরা সেই রাজহাঁস? ...

Friday, July 12, 2013

কিছু জাপানী হাইকু অনুবাদ (Haiku Translations - 1)

 কিছু জাপানী হাইকু অনুবাদ (Haiku Translations - 1)

http://simplyhaiku.com/SHv4n2/features/Gilbert.html

জাপানী হাইকু-কবিতার প্রতি একটা অনির্বাণ আকর্ষণ অনেকদিন ধরেই ছিল! সবেমাত্র উপরের কবিতাগুলোর ইংরেজী অনুবাদ ও ব্যাখ্যা কিছুটা পড়ে বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম:

(১) ছায়ারা ভেসে এসে এসে -
ছায়াটিকে মাড়ায় -
আর আমি অপেক্ষায়!

人を待つ影が来て影ふんでゆく   市原 正直
hito o matsu kage ga kite kage funde yuku Ichihara Masanao

Translations
------------
while waiting -
shadows tread
on shadow

someone's waiting shadow
passes shadows
passing


(২) তারুণ্যের তীব্র -
বাঁক-নেয়া-মোটরবাইকে -
হাতিরঝিল দুলে ওঠে!

少年のバイク ダム湖を傾けて       三好 靖子
shounen no baiku damu-ko o katamukete Miyoshi Yashuko

Translation
----------
a youth on a motorcycle:
the dammed lake tilts


(৩) দেহ তো ভেসে গেলো -
প্রবল বর্ষণে -
পথে অন্ধকার!


どしゃ降りの身体の中に町黒く       小川 双々子
dosyaburi no karada no naka ni machi kuroku Ogawa Sōsōshi

Translations

heavy rain
within the body
dark street


heavy rain body
within the dark street


(৪) আমার কথারা এখন -
তোমার কাছে যেয়ে -
যায় হলুদ হয়ে!


きみにふれたことばの端が黄ばんでゆく   伊藤 利恵 
kimi ni fureta kotoba no hashi ga kiban de yuku Ito Toshie

Translations
-----------
through you
the ending of language
turns yellow


(৫) আঙ্গুল কাটলো -
ধারালো কবিতা-পাতায় -
লাঙ্গুলও কিছুটা বুঝি!


忘れていた詩集の紙で指を切る 土井 博子
wasureteita shishyu no kami de yubi o kiru Doi Hiroko

Translations
------------
cut a finger
on neglected poems


the edge of a page
of a forgotten poetry book
cuts my finger

 

(৬) মস্ত হাতি - / জ্ঞানে মত্ত হয়ে - / মরণেরে করে থোড়াই কেয়ার! 死の時を知りたる巨象うしろ見ず 高屋 窓秋
shi no toki o shiritaru kyozō ushiro mizu Tak
aya Sōshu

Translations
-----------
knowing its death
an enormous elephant:
not looking back

 
 

http://www.bopsecrets.org/gateway/passages/basho-frog.htm


The old pond;
a frog jumps in —
the sound of the water.

Furu ike ya Old pond!
kawazu tobikomu frog jumps in
mizu no oto water’s sound

অজ্ঞানতার পুরনো পুকুরে -
বোধি-ব্যাঙ লাফ দিলে -
জল-তরঙ্গের আনন্দ-ধ্বনি শুনি!

পরাজয় - ১ (Defeat - 1)

 পরাজয় - ১ (Defeat - 1)

একটি ফুল নীরবে ঝরে গেলে -
পৃথিবীর কিছুই যায় আসে না!
লক্ষ-কোটি ফুল ঝরলেও আজকাল -
তেমন কিছু যায় আসে না - কারো!
এমনকি এই ধরো - নীরব কবিরাও -
চলে গেলে বা গুম হয়ে গেলে -
তুমি বসে বারান্দার চেয়ারে -
কামিনী কিংবা হাসনাহেনার মদির গন্ধে -
রোজকার মতোই কাটাবে সময়!
কে আসে - কে যায় -
কার এতো খোঁজ রাখবার -
আছেটা সময়?
নিশ্চিন্ত সংসারে সং হয়ে -
নিশ্চিন্ত আহারে, দুপুরের গাঢ় ভাত ঘুমে -
কিংবা রুটিন সঙ্গমে পারঙ্গম তোমাকে -
কে-ই বা পারে আর কোন নাড়া দিতে?

জড় জীবন - ২ (Still Life - 2)

 জড় জীবন - ২ (Still Life - 2)

নদী, পাহাড়, সাগর, অরণ্য;
বেঁচে আছি বুঝি তোদেরই জন্য!
রাধা ও গোপীনীর রূপ-লাবণ্য,
কবি যে কৃষ্ণ, আমি তো ধন্য!
শব্দ বাঁশিতেই কাটে তারুণ্য,
শিখিনি কিছুই, শিখিনি অন্য!
ধন-কে সেরাম করিনি গণ্য!
মান-কে ছুঁড়েছি, রয়েছি শুন্য!
......
......
......
ডুবে বুঝি সব, সকলই অন্য!
লুটেরা সমাজ, ধরা কি ঘৃণ্য?
ক্লিষ্ট রাষ্ট্র, জনতা খিন্ন!
শাসক পৃথক, শোষক অভিন্ন!
দেহটা নিথর, মাথাটা ছিন্ন!
রাজা হবার নীতিটা ঘৃণ্য!!
......
......
......
হ'তে যদি পেতাম সরল ও বন্য!
মিটতো কি সাধ? হ'বো কি ধন্য...?!!

Friday, June 21, 2013

সেই সুর, সাঁই - ১

সেই সুর, সাঁই - ১

সেই কথা সেই সুর কবে পাবো, সাঁই ?
যেই কথা যেই গান শুনে শুধু কেঁদে কেঁদে যাই!
"আমার যমুনার দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে-এ..."
এমন আরো কত কথা, কত গান
হাজার বছর ধরে মিলে মিশে গেছে
মানুষের কোটি কোটি প্রাণে
এই বাংলার নদী-খালে-বিলে গ্রামের প্রান্তরে প্রান্তরে!
আনন্দ হাসির কথার সুরেও সকরুণ
যেন মিশে আছে শত সহস্র বর্ষের বিষাদ!
"আমাদের মধুরতম সঙ্গীত সেটাই -
যা বেদনার তীব্রতম তন্ত্রীতে নাড়া দিয়ে যায়!"
লালন, হাছন, রাধারমণ, আরো কত শত শত
অনামা জ্ঞানী-গুণীজন, আমাদের নিয়ে যান
আনন্দ-বেদনার অবিমিশ্র অনিন্দ্য অভিজ্ঞতায়!

কবে হবে গুরু, সেই সাধন আমার?
যাতনার যাঁতাকলে আর কত পিষ্ট হলে
গুরু তুমি দেবে সেই অমর গোপন মন্ত্র তোমার?
যেই সাধন মন্ত্রে সিদ্ধ আমি অমৃত আনন্দের সুরে
গেঁথে যাবো শব্দ, কথা - নতুন ভাবের নতুন বুননে
বাংলার সমস্ত পাললিক হৃদয়ের জমিনে জমিনে!
পাঁচশ-হাজার বছর পর আমারই মতোন অঝোরে
আনন্দ-বেদনায় অশ্রু ঝরাবেন
নতুন যুগের কবি, নতুন যুগের মানুষেরা
এই কথা, এই সুর, এই গান, এই কবিতা শুনে!

কবে পাবো অমৃতের সেই কথা, সেই সুর, সেই গান, সেই কবিতা - সাঁই ?

কালাহারি কণিকা - ০০১

কালাহারি কণিকা - ০০১

(১) 
শরীর শুকায়ে গেলে সুখ তো থাকে না!
জীবন শুকায়ে এলে মন তো বাঁচে না!

(২)
 সুডৌল স্তনে নারী অতি ধনবতী,
ধন্য ধরা, ধন্য তার প্রেমবান পতি!

(৩)
ভ্রষ্ট মানুষ, নষ্ট সময় - হিংসা ও ঘৃণা কতিপয়,
অস্থিরতা, অবিশ্বাস ও জিঘাংসায় জীবনের ক্ষয়!

(৪)
এমন যদি হতো - বাংলার মহাকবি মাইকেল মধু,
পুনর্জন্মে কবি কালাহারি - জীবন মহাধন্য হতো শুধু!

(৫)
বাংলার মীরজাফরেরা আজ সাজে বীর দেশপ্রেমিক!
মা-গো কি করে সহ্য করিস, ধিক তোকে শত ধিক!!


Thursday, June 13, 2013

মায়াবী - ১

মায়াবী - ১

কে আমায় এইখানে নিয়ে এলে - 
কোন মায়াবী?
ভৌতিক আলোর শহর - এ আমি চিনি না!
ল্যাম্পপোস্ট, ক্রিসানথিমাম, দানবীয় মুরাল
বহু বহু বহুতল বাড়ী খালি পড়ে আছে-
প্রেতের হিম জাগানিয়া হিম আত্মাগুলি-
কিছুই জানি না!

এ কোন মায়ার খেলায়,আমি-
কাল থেকে বহুকাল
দেশ থেকে বহুদেশ
রূপ থেকে বহুরূপ
জড়-জঙ্গমের বিভাজন ঠেলে-
বারে বারে এইখানে এসে গেছি!

নিষিক্ত ক্রোমোসোমে কত কত কোটি কোটি
বছরের ডিএনএ-রা বার বার বিবর্তিত হয়েছে
আমার এই জন্ম-জন্মান্তরের মায়াবী খেলায়!
এই ধূলাবালু কংক্রিট, এই রাজপথ - হঠাৎ জেগে ওঠে -
ঠেলে ওই দূরের মায়াবী পর্দা - ওপারে যার
আলুথালু আলপথ বেয়ে আকাশ থেকে নেমে আসে অপ্সরাদের দল!

দূরে স্থির ভাসে মৌন পাহাড় আর তার দিগন্ত রেখার প্রতিভাস!
কিন্ত শব্দহীন অন্ধকারেও বুঝি শোনা যায়:
পাহাড়ের শিলার সমস্ত খাঁজে-খাঁজে,
নুপুরের রিনিঝিনি নিক্কন বাজে।

Wednesday, April 24, 2013

নাড়ির টানে - শেষবার - ১

                   নাড়ির টানে - শেষবার - ১
               (মাইকেল মধুসূদন দত্তের পূণ্য-স্মৃতির উদ্দেশ্যে)

কাঠবাদাম গাছটার নীচে বড় ত্রিপল
টানিয়ে শুয়ে আছি। আমার জন্মভূমি
কতোকাল দেখি না - কেমন আছো তুমি?
এসেছি শেষবার, বহু দূর বহু নদী জল
পথ পার হয়ে পেতে জন্মের ফলাফল!
হে মাতা, হে মাটি, তোমার চরণ চুমি-
শত অপরাধ মোর, দিয়েছো কি ক্ষমি?
জানি দেবী - দিবে না তো দু:খের হলাহল!

কিন্তু কারা ওই ধর্মের বিভাজন টানে?
বিধর্মী, নাস্তিক বলে শুধুই আমার বুকে-
কোপ, ঘৃণা আর বর্বরতার শেল হানে!
রক্তের আত্মীয় বলি তাদের - কোন মুকে?
জন্মের নাড়িপোতা ঐ তুলসীগাছটিও জানে-
তা ছুঁতে না পেরে মধু মরে যাচ্ছে ধুকে!


Sunday, March 31, 2013

Passion - 1

Passion - 1

Riveted to earth are our roaring Tigers!
Ah, What a Shame!
Just to survive is the name of the Game!
The eternal yearnings for a Dream-Life pass-by -
Nobody cares these days, nobody asks - Why?
Has it been like this always - O Time?
From your immemorial eternal journey
Can you spot the points of your flow,
Where Pains were faded, Passions only could glow?

O Goddess! O Muse! O My dearest Darlings!
How could you not inspire me to conquer Poetry, History and Humans?
How could I stay so sterile with you all Divine Feminines?
Or the gorgeous and glorious Poetry-breeding Virgins?
Oh, Don't give me your mischievous smile!
Don't give me that Killer-Look!
Should I just stop everything, only to caress you,
Only to fondle with your limbs, only to write my Poetry-Book?


হায় - তিলোত্তমা! - ১

হায় - তিলোত্তমা! - ১

তিল তিল যত্নে তৈরী তুমি, বিধির প্রতিনিধি -
                                                           ওগো তিলোত্তমা!
তোমার গজেন্দ্র-গমনে হুসেনের গজ-গামিনী তৈরী হয়ে যায়!
অমর চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেন -
তিলোত্তমা তোমার মদালসা দৃষ্টিতে
                                                 ফিদা হয়ে যান!
আর দেখো এই গুণহীন কবি কালাহারি -
কোনকিছু না পেরে কেবল
করে যায় - তিলোত্তমা তোমার গুণগান!
কি আর আমার পারা উচিত ছিল?

কি আর আমার করা উচিত ছিল?
কি আর আমার হওয়া উচিত ছিল?

হায়! যদি অমর কবি কালিদাসের মতো
তোমার তিল তিল রূপের কথা বলতে পারতাম!
যদি দেখতে পেতাম সেই টসটসে বিম্ব ফল - 
যা তোমার ঠোঁট দুটির উপমা হতে পারতো!
যদি দেখা দিত সেই পাহাড়-চূড়ার ঘন-কালো মেঘের প্রপাত - 
যা হতে পারতো তোমার কোমর-ঝোলা চুলের মতো!
যদি সেই গভীর অতল নীল সমুদ্রের দেখা পেতাম - 
যা তোমার দুচোখের উপমা হতো!

দেখো - কী তোমার অপূর্ব চিবুক!
যা সমস্ত যুবকের বুকে চিন চিন চিহ্ন রেখে যায়!
তিলোত্তমা, তোমার অপূর্ব সুন্দর ওই সুষ্ঠু চিবুকে
যেই অসাধারণ তিলটি দেখা যায় -
তাকে দেখে আমার চুলবুলানো উড়ালিয়া চুমুরা
চীৎকার করে কেবলই কাছে যেতে চায়!

Thursday, March 21, 2013

A Poet in Oblivion! - 1

A Poet in Oblivion! - 1
(Will somebody ever discover me...?)

Will my poetry grow in this world?
And also will it glow?
Will people ever remember my poems?
Or at least, will they read or know?
Everybody writes these days!
Everybody rhymes!
How will I be distinct?
How will I signify my Times?
Shall I water-paint the Beauty - Impulsive and Ephemeral?
Shall I sculpt the Beauty - Classic and Eternal?
Or Shall I try all - whatever pleases me?
Not worrying anything - whatever the Time be!

"Not All Poets are Poets" - declares
One of the purest Bangla Poets
The Great Jibonando Das!
Alas! didn't get his due credits
In his LifeTime!
But millions are still quoting him
Daily in social networks - these days!
Another Great Hero - our Modhu
The Great Michael Modhusudan Datta!
Still not sung well, not being followed
By many - as he should have been!
His English Poems and Verse-Novels
Are gems and unappreciated Jewels!
Bangla got rich with Modhu's return!
What a turn he made, What an Impact!
Innovated Blank-Verse and Liberated
Bangla with Great Drama and Epics!
Modhusudan - An inspiration for the World!
Should be quoted and practiced more
Not only by the Literary Critics!

So where do I go?
Start copying the Masters?
Rest and Practice under their Great Banyan Trees?
Or look for my Styles? For my Forms?
Start questioning the old, start creating new Norms?
Will my Muse mull over me until my ultimate lull?
Will Goddess Saraswati flow
Through me with her divine river?
Or her mortal hoodlums will cry out for my skull?
As to make me another M F Husain!
Ah! What a shame! What a disdain!
Uprooting the sun of the soil - one of the Best!
Died in desert, Mother not giving the ultimate Rest!
Shall I be true to the Art and my rebel Heart?
Even at the cost of Exile or Life?
How do I carve the design of Poems
Foaming inside me now and then?
Extract the words - gone to Heaven?

O my reader from future, have you read me so far?
Then I bow you bending on my knee
If my poetry doesn't please you
I seek my sincerest apology!
Give me better words, better forms - O my Muse, I beg Thee!

Tuesday, March 19, 2013

জীবনটা ফাটাফাটি, মাম্মা - ১

জীবনটা ফাটাফাটি, মাম্মা - ১
(পুরাই অস্থির এই দুনিয়া!)


জীবনটা ফাটাফাটি,
                            মাম্মা -
এসো দেখি, বসো দেখি,
যোগ করে ভাগ করো
                           সবগুলো উড়ালিয়া চুম্মা!

হাসো দেখি, হাসো দেখি,
শিরাম খুশী কই,
                             মাম্মা?
রোসো সব গ্যাঞ্জাম,
                          ছুঁড়ে দাও উড়ালিয়া চুম্মা!

চেনা নাই? ক্ষতি কি?
চেনা ছাড়া গতি কি?
জয় রাগে বাগ বাগ,
হও তুমি শাহবাগ,
                             মাম্মা -
রাত-ভোর গানে গানে,
শিরাম শ্লোগানে,
                          সবদিন হয়ে যায় জুম্মা!

সবকিছু পাও নাই?
আরোকিছু চাও নাই?
অস্থির হয়ো না,
                        মাম্মা!
যোগ করে ভাগ করো
                           সবগুলো উড়ালিয়া চুম্মা!

জোশিলা সবদিন,
হয় কি বলো দেখি,
                          মাম্মা?
কেঁদেকেটে লাভ নাই!
মরণেরে ভয় নাই!
              জীবনেরে ছুঁড়ে দাও উড়ালিয়া চুম্মা!

যে ক'দিন তুমি বাঁচো,
হাসো আর গাও নাচো,
                          মাম্মা!
জীবনের জয় মেনে,
সবাইকে কাছে টেনে,
             দাও তুমি শিরাম চুম্মা!

জীবনটা ফাটাফাটি,
                            মাম্মা -
এসো দেখি, বসো দেখি,
যোগ করে ভাগ করো
                           সবগুলো উড়ালিয়া চুম্মা!

Tuesday, February 19, 2013

মুক্তিযুদ্ধ ২০১৩-এর আহবান - ১ (Liberation War 2013 Invitation - 1)


এখনো কি নিস্পন্দ পড়ে আছি
আত্মকেন্দ্রিক হতাশ মানুষ!
আমাকে নিরপেক্ষ রয়ে যেতে হবে --
অতএব প্রবল দ্রোহে আমি দ্রোহী হবো না!
আমাকে সব সয়ে যেতে হবে --
অতএব প্রবল দ্রোহে আমি দ্রোহী হবো না!
আমাকে অস্তিত্ব বাঁচাতে হবে --
অতএব প্রবল দ্রোহে আমি দ্রোহী হবো না!

দ্রোহে কি সর্বদা নিহত হতে হয়?
(দ্রোহে কি সর্বদা পরাজয়?)

তবুও যদি শূয়োর-শরভেরা এসে
ভেঙ্গে দিয়ে যায় আমার সাজানো বাগান...?
যদি কাপুরুষ-হায়েনারা অদৃশ্য-আড়ালে থেকে
ফোন, এসএমএস, ইমেইল, ফেসবুকে
কেবল মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠিয়ে যায়...?
যদি আমারই বাড়ির রাস্তায় রাজীবেরই মতো
পড়ে থাকে আমারই বিকৃত মৃতদেহ...?

তবু কি আসবে না সাহসী মানুষেরা?

তবু কি আসবে না শাহবাগে
মিছিলে-শ্লোগানে শামিল হতে
হে সাহসী ভালো মানুষ
হে বন্ধু আমার ...?

Monday, February 18, 2013

মুক্তিযুদ্ধ ২০১৩ - ১ (Liberation War 2013 - 1)



শান্তি কে না চায়!
যে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়
সে তো শান্তি আনতেই যুদ্ধে যায়!
শুধু কিছু জাঁহাবাজ-যুদ্ধবাজ ছাড়া
যারা শুধু ক্ষমতা আর ব্যবসা ছাড়া
বোঝে না কিছুই!
তারা মা আর মাটির ভালোবাসা কাকে বলে
বোঝে না কিছুতেই!
তারা শুধু যুদ্ধ বোঝে, চোরা-গুপ্তা খুন বোঝে
বর্ণচোরা হয়ে বিভেদ ছড়ানো বোঝে
সন্দেহের বিষবাষ্প তৈরী করা বোঝে
কুটিল-জটিল চালে বোঝে - যুদ্ধজয়!

আজ চৌদ্দদিন ধরে শাহবাগে শান্তিকামী
তরুণ-তরুণীরা বাধ্য হয়ে নেমেছেন রাজপথে।
গানে-শ্লোগানে গণহত্যার ন্যায্য বিচার আদায়ে
ঘুম-নাওয়া-খাওয়া ভুলে মাটি কামড়ে পড়ে
আছে আবেগে উত্তাল দামাল তরুণের দল!
বন্ধু রাজীবের গুপ্ত-নৃশংস খুনের পর
রক্ত-দৃপ্ত শপথে সচকিত আজ রাজপথ।

মুখোশ-পরা অদৃশ্য হায়েনার দল ঠেলে দিলো
শান্তিকামী সব তরুণেরে দ্বিতীয় একাত্তরে!
আরও কত প্রাণ অকাতরে মা-মাটিরে দিতে
হবে - বলবে আরেক ইতিহাস!

নিস্পৃহ নিরপেক্ষ বিষয়-কুশলী বিজ্ঞ বন্ধুগণ:
আপনারা তো এই দেশে অসীম শান্তি চান?
তাই বিরক্ত এই আসন্ন দীর্ঘমেয়াদী বিরোধ-সংঘাতে?
এই ক্যাকোফোনী অনিশ্চিতে ভ্রু-কুঞ্চিত আপনাদের?
কি হবে ভবিষ্যতে? কি হবে ভবিষ্যতে?
কি দরকার ছিল? ছিলাম ভালো দুধে-ভাতে!
তা হোক না দেশ-বিরোধীর রেকাবীতে খাই
অগুণিত দেশ-প্রেমী মুক্তিযোদ্ধার মৃত-মাংশের-ফল!
দীর্ঘ ৪২ বছর পর কেন ভাই ছড়াও বিভেদের হলাহল?
-- এসবই তো ঠারে-ঠুরে আকারে-ঈঙ্গিতে বলছেন বা
বলতে চাইছেন বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ বিষয়-কুশলী নিরপেক্ষ বন্ধুগণ?

তবে শুনুন: এই যুদ্ধে আমাদের জয় হবেই নিশ্চয়!
আজ মায়ের ডাকে প্রাণপাতে ভয় নেই আর
হে বন্ধু আমার!

Monday, January 28, 2013

আমার দেহভস্ম থেকে - ১ (A Sonnet)


আমার দেহভস্ম থেকে - ১ (A Sonnet)
(কোমরে জামাটা বাঁধা চিনে নিও লাশ)
============================
আজ সকালের ভাতেও মরিচ পোড়া
খেয়ে গেছি ঐ পোষাকের কারখানায়।
প্রতি বারের মতো মালিকেরা জানায়
এবারও লস, চারিদিকে বাজার খুব চড়া।
কাজ করো অবিরাম - রাতদিন জোড়া
করে কাপড়ের চালান যেন ঠিক ঠিক যায়।
হঠাৎ আগুন - কেয়ামত দেখি চোখের কোণায়
দরজা তালা মারা, গলদ আগা-গোড়া!

বেহুঁশ সবাই চারিদিকে ছুটাছুটি ক'রে
মারা যাচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া ও পায়ের চাপে।
আমি মরে যাচ্ছি মা’গো, থেমে যাবে শ্বাস,
ক্ষতিপূরণ নিতে ভুলো না মালিককে ধরে
শত লাশের ভীড়ে চিনতে ভুলো না সন্তাপে
কোমরে জামাটা বাঁধা চিনে নিও লাশ!

Out-Of-Sync-1 (A Sonnet)


Out-Of-Sync-1 (A Sonnet)
----------------------------
Luis I Kahn lonely staring at me
Through his latest Great Architecture!
Beautiful Assembly House - the Treasure
Since the teen-days spell-bounds me!
Deep blue sorrows oozing out slowly
Yearning human touch, your nurture.
Missed calls open crack, heart's rupture!
I'm free now, you are not free!

I'm sinking Dear, truly Out-Of-Sync
In my Web, In this City's Labyrinth
Our free time slots never coincide!
Lives without pause, without eye blink
In roller-coaster, in lean Hyacinth
Are we drowning slowly in this ride ?