Wednesday, August 29, 2007

নতুন কোন খেলা

আমার বুকে শুধু খেলা করে নিরাশার বালিকারা ..... ওরা গুনগুন গান গায়, হাসে খিলখিল করে .... বাকা চাউনিতে আর চতুর হসিতে .... আমার ....

আর হে নিরাশার বালক কেন অপলক চেয়ে থাক ঐ প্রান্ত রেখার দিকে ? ... ঘুম কি ভা্ঙএ নাই সখি ? ়়

Sunday, April 8, 2007

কাজল লতা তোমার কথা

(১৯৯২ সালের সংসদে প্রধানমন্ত্রি শাসন চালুর অধিবেশনের রাতে রচিত,
অনেকটা উপরের কবিতার উত্তরের মত)

কাজল লতা তোমার কথা এতোদিনের পরে
ভয়াল ঝড়ের কাঁপন জাগায় আমার শান্ত ঘরে।
আমি তো সেই বেণীমাধব, শান্ত শিষ্ট লোক,
নিজেরে নিয়ে ব্যস্ত থাকি বাইরে যাই হোক।
বাল্য থেকেই মাতাপিতার বাধ্য আমি ছেলে,
বই পড়েছি, বখে যাইনি যখন তখন খেলে।

তখন আমার পরীক্ষা শেষ, তখন আমার ছুটি,
গাঁয়ের সবুজ, মনের সবুজ করলো লুটোপুটি।
কাজল লতা কাজল কালো দীঘির মতো চোখ,
কেমন করে লুকাই বলো, মনের গোপন শোক?
তখন আমি স্বপ্নে বিভোর, মোহন নেশায় চুর,
তখন আমার সত্তা জুড়ে কৃষ্ণ-বাঁশির সুর।
সেসব কিছু সত্য ছিল, সত্য ছিল কথা,
এখনও তো মুচড়ে ওঠে প্রাণের দারুন ব্যথা।

অথচ এও সত্য এ যে, ঘোরের থেকে নামি’
চোরের মত পালিয়ে এলাম তোমায় ফেলে আমি।
কাজল লতা তোমার বাবা দোকানে কাজ করে,
এ কথাটাই ভেবে তখন লজ্জাতে যাই ম’রে।
ঘোর ছাড়িয়ে, গ্রাম ছাড়িয়ে, পালাই নিজের কোণে,
তোমার কথা, কাজল লতা, আর কে বলো শোনে?
শহরে যে অনেক আলো, অনেক ভালো মেয়ে,
ধন্য হই যে, গণ্য হই যে, তাদের পিছু ধেয়ে।

আমার আছে অনেক আশা, আমার আছে সিঁড়ি
গাছ-গাছালি, পাখ-পাখালি, তোমার শুধু পিঁড়ি।
আমি এখন প্রতিষ্ঠিত, আমি এখন বড়ো
আমায় দেখে ছোটরা সব ভয়েই জড়োসড়ো।
আমি এখন আহার শেষে, ঘুমাই যুগল সুখে
তোমার কথা ভুলেও আমি, আনি নাকো মুখে।

কাজল লতা কাজল লতা, তোমার দৃঢ় হাতে,
সুষু্প্তদের জাগাও তুলে তী্ব্র কষাঘাতে।।

জয় গোস্বামির কবিতা

মালতী বালা বালিকা বিদ্যালয়
(খুব সম্ভবতঃ দেশ পত্রিকায় ১৯৯২ সালের *মে* মাসে প্রকাশিত)

বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাব
বেণীমাধব তুমি কি আর আমার কথা ভাব ?
বেণীমাধব মোহন বাঁশি তমাল তরু মূলে
বাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী স্কুলে।
ডেস্কে বসে অংক করি, ছোট্ট ক্লাস ঘর
বাইরে দিদিমণির পাশে দিদিমণির বর।
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন শাড়ি,
আলাপ হলো, বেণীমাধব, সুলেখাদের বাড়ি।

বেণীমাধব, বেণীমাধব, পড়াশুনায় ভাল
শহর থেকে বেড়াতে এলে, আমার রঙ কালো।
তোমায় দেখে পালিয়ে গেছি একদৌড়ে ঘরে
বেণীমাধব, আমার বাবা দোকানে কাজ করে।
কু্ন্জে তবু গু্ন্জে অলি ফুটেছে মন্জরী
সন্ধ্যা বেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি।
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ষোলো
ব্রীজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো।

বেণীমাধব, বেণীমাধব, এতোদিনের পরে
সেসব কথা এখনো কি আর তোমার মনে পড়ে?
সেসব কথা বলেছ কি তোমার প্রেমিকাকে?
আমি কেবল এ একটিবার তোমার পাশে তাকে,
দেখেছিলাম আলোর নীচে, অপূ্র্ব সে আলো।
স্বীকার করি দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো।
জুড়িয়ে দিল চোখ আমার, পুড়িয়ে দিল চোখ
বাড়ীতে এসে বলেছিলাম – ওদের ভালো হোক।

রাতে এখন ঘুমোতে যাই – একতলার ঘরে
মেঝের পরে বিছানা পাতা, জো্ত্স্না এসে পড়ে।
আমার পরে যে বোন ছিল, চোরাপথের বাঁকে
হারিয়ে গেছে, জানি না আজ কার সঙ্গে থাকে।
আজ জুটেছে? – কাল কি হবে? আমার ঘরে শনি
আমি এখন এই পাড়ায় সেলাই দিদিমণি।

তবু, আসুন - বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?

Friday, April 6, 2007

ভূতগ্রস্ত

ভূত-শব্দ-কনিকা

. আমি তো --
ভূতের মত কালো,
. আমি তাই --
ভূতের সাথেই থাকি ভালো ।।

. আমি কি --
ভূতের মত কালো ?
. যে আমি --
ভূতের সাথেই থাকবো ভালো ??


ভূতগ্রস্ত-১
শব্দের ভূত, নাকি কবিতার ভূত;
চেপেছে আমার মাথায় ?
কিছুতেই মন বসে না, শুধুই শব্দের অবয়ব খুঁজি।
অর্থবহ অর্থের আগমনী সব কাজ রেখে,
অথর্ব বৃদ্ধ হয়ে বসে আছি শব্দের অপেক্ষায়।

হায় মাতা সরস্বতী, বস মা আমার শাখায়।
কেউ বুঝে না বুঝুক, তুমি কি বোঝো না ?
যে আমি নিস্তব্ধ মধ্য রাতে, হতাশার খরস্রোতা নদীতে,
নিঃশব্দ আর্তনাদে খুঁজি শব্দের সমূহ শুশুক ।।

Monday, April 2, 2007

আকাঙ্ক্ষা চিরন্তনি

হৃদয়ে আকাঙ্ক্ষা আমার দুর্নিবার,
হতে চাই কবি এক,  হৃদয়ে সবার।।