Sunday, August 5, 2012

ধনিক ও ধার্মিক - ১

(৫ই নভেম্বর, ২০১০)


তুমি তো বেশ জাঁকিয়ে বসে আছো -
ধন ও ধর্মের ধনাঢ্য আয়োজনে!
প্রতি জুম্মাবারে বেশ খুশবু নিয়ে-
জামাত শেষে আয়েশে খোশগল্পে তোমার জমকালো গাড়ির বহরে
বুঝি আঁধার নামে আমার হিংসুটে চোখে!
ইহলোক পরলোক - দুই লোকে তোমার আলীশান লোক-চোখ-ধাঁধানো
বাড়ি আর গাড়ির বহর আমার ঈর্ষার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়!!
কারণ আমার যে কিছুই নেই!
ঈশ্বরহীন আমার নিশ্চিত পরলোক নেই!
ইহলোকে ধন ও মানের চতুর খেলায় -
আনাড়ি পরাজিত এই হতাশ হিংসুটে আমি!
মনের নানা লেনদেনেও বেজায় বিফল -
ইহকাল পরকাল বিহীন এই ভবঘুরে পথিক!!

অথচ তোমাকে আয়নায় দেখো -
কী হৃষ্ট-পুষ্ট আত্মতৃপ্ত হাসি, স্বর্গীয় আভা তোমার চোখে-মুখে!
হুরপরীর সত্তর-গুনিতক অংকে ভাগ্য সুপ্রসন্ন পরলোকে তোমার!
ইহলোকেও কম নয় সেই তাহাদের আনাগোনা!
শুধু প্রকাশ্যে তা যায় না শোনা। ভীষন মানা
তোমার পেয়াদাদের এইসব জানাশোনা।
স্বর্গীয় সব সোনাদানারাও কোথা থেকে আসে -
তা পরিস্কার যায় না জানা। শুধু এইটুকু জানি -
খুব মানী মানুষ আপনি। ধনে, মানে, দয়া, ধর্মে,
বদান্যতায় তোমাকে হারায় এমন মানুষ কমই আছে এই দেশে।
রব বুঝি ধনে-মানে-জ্ঞানে-গুণে তোমাকেই দুহাত ভরে ছড়িয়ে দিলেন!!

আর আমি অভাজন রবাহুত হয়ে (রবের আবাহন ছাড়া মানব-জন্ম অসম্ভব)
দ্বারে-দ্বারে ঘুরি। তুমি বলো - সবই রবের খেলা! বলো -
আমার অধার্মিকতাই আমার এই ইহলোক পরলোকে
পতনের মূল কারণ। আর তুমি - ইয়া রব, ইয়া রব বলে --
তোমার হামার, ভলবো, মার্সিডিজের খোলা ছাদে আকাশ বাতাশ কাঁপিয়ে যাও।।

No comments: